সাংসদ স্থানীয় এলাকা উন্নয়ন কর্মসূচি (এমপি ল্যাড) পুনরায় শুরু করা এবং চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার সায়

दैनिक समाचार

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাকি সময়ে এবং পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ অর্থাৎ ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সাংসদ স্থানীয় এলাকা উন্নয়ন কর্মসূচি (এমপি ল্যাড) চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। 

কর্মসূচি সম্পর্কে :

• কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট এই কর্মসূচিতে ভারত সরকার তহবিল যোগায়। কর্মসূচির উদ্দেশ্য হ’ল – সংসদীয় এলাকায় পানীয় জল, প্রাথমিক শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, নিকাশি ও সড়ক সহ স্থায়ীভাবে সামুদায়িক সম্পদ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া।

• কর্মসূচিতে প্রত্যেক সাংসদ সদস্যকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। দুটি কিস্তিতে আড়াই কোটি টাকা হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে। অবশ্য, কর্মসূচির নীতি-নির্দেশিকা পূরণ-সাপেক্ষে এই কর্মসূচির সুবিধা পাওয়া যায়। 

• সমাজে কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য মন্ত্রিসভা ২০২০’র ৬ এপ্রিল ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এমপি ল্যাড কর্মসূচি সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ তহবিল কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব মোকাবিলায় অর্থ মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

• দেশ এখন অর্থ ব্যবস্থায় পুনরুদ্ধারের পথে ফিরে এসেছে। এই কর্মসূচি স্থানীয় মানুষের প্রত্যাশা পূরণে, স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টিতে, যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাকি সময়ে এবং ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাকি সময়ে এমপি ল্যাড কর্মসূচিতে প্রত্যেক সাংসদকে ২ কোটি টাকার তহবিল হস্তান্তরিত করবে। ২০২২-২৩ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে প্রত্যেক সাংসদকে আগের মতোই দুটি কিস্তিতে আড়াই কোটি টাকা করে মোট ৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। কর্মসূচি শুরুর সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৪ হাজার ১৭১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা খরচের বিনিময়ে ১৯ লক্ষ ৮৬ হাজার ২০৬টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। 

২০২৫-২৬ পর্যন্ত এই কর্মসূচি রূপায়ণ খাতে মোট ১৭ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা খরচ করা হবে। 

নির্দিষ্ট নীতি-নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই কর্মসূচি রূপায়িত হলেও বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়। স্থানীয় সাংসদ যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজকর্মের সুপারিশ করেন, তা নোডাল ডিস্ট্রিক অথরিটি রূপায়ণ করে থাকে। 

কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট এই কর্মসূচিতে ভারত সরকার তহবিল যোগায়। কর্মসূচির উদ্দেশ্য হ’ল – সংসদীয় এলাকায় পানীয় জল, প্রাথমিক শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, নিকাশি ও সড়ক সহ স্থায়ীভাবে সামুদায়িক সম্পদ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া।

কর্মসূচিতে প্রত্যেক সাংসদ সদস্যকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। দুটি কিস্তিতে আড়াই কোটি টাকা হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে। অবশ্য, কর্মসূচির নীতি-নির্দেশিকা পূরণ-সাপেক্ষে এই কর্মসূচির সুবিধা পাওয়া যায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক তৃতীয় একটি পক্ষকে দিয়ে দেশের ২১৬টি জেলায় চলতি বর্ষে এই কর্মসূচি মূল্যায়ন করিয়েছে। এই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *