তামার ব্যবহার বাড়াতে এবং ধাতু কারিগরদের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্থান কপার লিমিটেড (এইচসিএল) খনি এলাকাগুলিতে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগের প্রসার ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সেই অনুসারে, সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবসে চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডায়রেক্টর শ্রী অরুণ কুমার শুক্লা, কাজকর্ম পরিচালনা বিষয়ক অধিকর্তা শ্রী সঞ্জয় পাঞ্জিয়ার, অর্থ বিষয়ক অধিকর্তা শ্রী ঘনশ্যাম শর্মা ও অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা ঝাড়খন্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার মসাবাণী ব্লকের কুইলিসুতা গ্রামের ধাতু কারিগরদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মঙ্গলবার। উল্লেখ করা যেতে পারে, পূর্ব সিংভূম জেলার এই ব্লকেই এইচসিএল – এর কমপ্লেক্স রয়েছে। সংস্থাটি ধাতু কারিগরদের প্রশিক্ষণের জন্য তামা, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
কলকাতায় সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে মঙ্গলবার চলতি ২০২১-২২ অর্থবর্ষের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক ফলাফল অনুমোদিত হয়েছে। সংস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কর মেটানোর পূর্বে মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত বছর একই সময়ে সংস্থার লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থার কর মেটানোর পর মুনাফার পরিমাণ ৬৭ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা, যা গতবার ছিল ৯ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
সংস্থাটির চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩১৭ মেট্রিক টন এবং কাজকর্ম পরিচালনা খাতে রাজস্বের পরিমাণ ৪৬৪ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা।
প্রতিষ্ঠা দিবসের বার্তায় চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শ্রী শুক্লা সংস্থার অপার অগ্রগতির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। ১৯৬৭ সালের ৯ নভেম্বর থেকে সংস্থাটি নিরন্তর তার স্টেকহোল্ডার বা শরিকদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথার্থ মূল্য ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে।
সংস্থার বিভিন্ন ইউনিট ও আধিকারিকদের সঙ্গে এক ওয়েবিনারে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যোগ দিয়ে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ল স্কুলের অধ্যাপক ডঃ মুকেশ কুমার মালব্য এবং কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার তথা প্রাক্তন আইপিএস শ্রী যশবর্ধন আজাদ আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে “Ideas @ 75” এবং “Actions @ 75” শীর্ষক বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত এইচসিএল – এর প্রতিষ্ঠা দিবস সংস্থার সমস্ত ইউনিট ও কার্যালয়ে প্রভাতফেরি, চারাগাছ রোপণ, সমাজসেবা, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। এই উপলক্ষে কর্মচারীদের সাজেশন বা প্রস্তাব কর্মসূচি পুনরায় শুরু করা হয়।