পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের জন্য “লক্ষ্মী ভাণ্ডার” প্রকল্পের সূচনা

आर्थिक दैनिक समाचार

লেখিকা  সাবাতিনি চ্যাটার্জী

          পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মী ভাণ্ডার যোজনার জন্য নির্দেশিকা এবং নিয়মাবলী পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘোষণা করেছে। এই স্কিমের মাধ্যমে, সরকার দরিদ্র পরিবারগুলিকে মাসিক 500/-টাকা ভাতা দিতে চলেছে। তফসিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতির পরিবারগুলি মাসিক 1000/- টাকা ভাতা পাবে।পশ্চিমবঙ্গের প্রায় 1.60 পরিবার এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে।সরকার এই স্কিমের জন্য 12900/- কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করেছে।  এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে যোগ্যতা এবং অন্যান্য মানদণ্ড 30 জুলাই 2021 -এ মহিলা ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ বিভাগ জারি করেছে , এই প্রকল্পটি 1সেপ্টেম্বর 2021 থেকে কার্যকর হবে। এটি লক্ষণীয় যে এই প্রকল্পটি তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারের একটি অংশ ছিল।

          এই স্কিমটি রাজ্যের একটি পরিবারের মাসিক গড় খরচ খরচ 5249/- টাকা মাথায় রেখে চালু করা হয়েছে।এই স্কিমের মাধ্যমে প্রদত্ত আর্থিক সহায়তার সাহায্যে, একজন উপকারভোগীর মাসিক ব্যয়ের 10% থেকে 20% অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এই স্কিম আবেদন করার যোগ্যতার মানদণ্ড মূলত –

  1. আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী হতে হবে
  2. এসসি (SC)এবং এসটি(ST) বিভাগের সকল পরিবার এই স্কিমের আওতায় আবেদন করতে পারে
  3. সাধারণ শ্রেণীর জন্য, যেসব পরিবারে কমপক্ষে একজন করদাতা সদস্য আছেন তারা এই স্কিমের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না
  4. যারা সাধারণ শ্রেণির নাগরিক যাদের 2 হেক্টরের বেশি জমি আছে তারা এই স্কিমের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না

          পরিবারের সকল যোগ্য মহিলা স্কিমের আওতায় মৌলিক আয়ের সহায়তা পাবেন।25-60 বছর বয়সিরা এই আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে স্থায়ী সরকারি চাকরিরত, পেনশনভোগী, স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, পঞ্চায়েত, পুরসভার কর্মী এবং যে-সব শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা স্থায়ী বেতন বা পেনশন পান, তাঁদের স্ত্রীরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।সরকারি নির্দোশিকা অনুযায়ী, শুধু স্থায়ী সরকারি চাকরিরত এবং পেনশনভোগীরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারে আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করতে আয়ের কোনও সীমারেখাই তো টানা হয়নি। আর্থিক সুবিধা সরাসরি সুবিধাভোগীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হবে।

          ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানেও মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা ব্যানার্জি কে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার 1 সেপ্টেম্বর থেকে পাবেন।মা-বোনেরা দুয়ারে সরকারে নামগুলি লিখিয়ে নেবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যাঁদের আছে, তাঁরা পাবেন। তাও নামগুলি লিখিয়ে নেবেন। যা কথা দিয়েছিলাম, প্রত্যেকটা কথা রেখেছি। আপনাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিন্ত।“ নাগরিকরা এই স্কিমের অধীনে দুয়ারে সরকারে শিবিরের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন যা রাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে সরকার 16 আগস্ট 2021 থেকে 15 সেপ্টেম্বর 2021 পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করবে। যদি কোন উপকারভোগী 20 অক্টোবর 2021 তারিখে লক্ষ্মী ভান্ডার কার্ড পায় তাহলে সেও সেপ্টেম্বর 2021 থেকে তার সহায়তা পাবে।মনে করা হচ্ছে, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে রাজ্যের গ্রামীণ ও শহুরে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *