লেখক, সাবাতিনি চ্যাটাজী
ভারতের ইতিহাসে দুই দশকের অপেক্ষার আবসান ঘটেছে শানিবার( জুলাই ২৪)মীরাবাই চানুর মেয়েদের ৪৯ কেজি ইভেন্টে প্রথম পদক (রুপো)অর্জনের মাধ্যমে। অলিম্পিক পদকের সম্মান সমগ্র দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই পদক জয়ের মাধ্যমে মীরাবাই চানু আজ দেশের দ্বিতীয় বাক্তি যিনি ভারোত্তোলনে অলিম্পিক এ পদক জয়ের সাম্মান লাভ করেছেন, এর আগে কর্ণম মল্লেশ্বরীর ওয়েটলিফ্টিংয়্ এ অলিম্পিক পদক জিতেছিলেন ।
চানু তার প্রথম প্রচেষ্টায়ে ৮৪ কেজি উত্তোলনের চেষ্টা করেছিলেন এবং তিনি সময় নিয়ে পরিষ্কারভাবে বারবেলটি উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর পরবর্তী প্রয়াসে তিনি ৮৭ কেজি ওজনের পরিমান বাড়িয়ে ৮৯ কেজি করেছিলেন, যা গত বছর জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর ৮৮ কেজি ব্যক্তিগত নিজস্ব রেকর্ডের চেয়ে এক কেজি বেশি ছিল। এরপরে ক্লিন জার্কে, বিভাগের বিশ্ব রেকর্ডধারক মীরাবাই চানু প্রথম দুটি প্রচেষ্টাতে ১১০ কেজি এবং ১১৪ কেজি ওজন ওঠাতে সক্ষম হয়। কিন্তু চূড়ান্ত প্রয়াসে ১১৭ কেজি বাড়াতে চানু পারছিলেন না, তবে ওয়েটলিফ্টিংয় এর পরিমান তারঁ পদক প্রাপ্তি এবং টোকিও অলিম্পিকে ভারতের অ্যাকাউন্ট খুলতে যথেষ্ট ছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই আনন্দের মুহূর্তে মনিপুরি ওয়েটলিফ্টার মীরাবাই চানু প্রবল আবেগপ্রবন এবং বাকদরুদ্ধ হয়ে পরেছিলেন।মীরাবাই বলেছেন,”আমি ফেডারেশন, আমার কোচ, পরিবার এবং সমস্ত সমর্থনকারিদের ধন্যবাদ জানাতে চাই” । মীরাবাই আরও বলেছিলেন যে তাঁর লক্ষ্য টোকিও গেমসে পদক জয় এবং তাই তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি আনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। মীরাবাই চানুর কোচ বিজয় কুমার প্রবলভাবে সন্তুষ্ট এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে ফলাফলটি আরও ভবিষ্যতে ওয়েটলিফ্টিং এবং দেশের জন্য পদক আনতে উদ্বুদ্ধ করবে। মনিপুরি ওয়েটলিফ্টার মীরাবাই চানুর স্বাপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে । লেখক সত্তাচিন্তনের ব্যানারে সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেন। তিনি একজন লেখক, জীবনে কিছু করার ইচ্ছাশক্তিযুক্ত ব্যক্তি।