কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রক ২০১৭’র খনিজ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন আইনে সংশোধনের লক্ষ্যে গত তেসরা নভেম্বর খনিজ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন (সংশোসধন) বিধি, ২০২১ জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে। খনিজ সম্পদ সংরক্ষণ, পদ্ধতিগত ও বৈজ্ঞানিক-ভিত্তিতে খনন এবং দেশে খনিজ সম্পদের উন্নয়ন সহ পরিবেশের সুরক্ষার স্বার্থে ১৯৫৭’র খনি ও খনিজ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) আইনের ১৮ নম্বর ধারার আওতায় ২০১৭’র খনিজ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন বিধি প্রণয়ন করা হয়। রাজ্য সরকারগুলির পাশাপাশি, শিল্প সংগঠন, খনির লিজ গ্রহীতা, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশদে আলাপ-আলোচনার পর সংশোধিত আইনটি প্রণয়ন করা হয়। সংশোধিত এই আইনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ –
খনি সম্পর্কিত যাবতীয় পরিকল্পনা ডিজিটাল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম সহযোগে প্রণয়ন করতে হবে অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্রোণ সমীক্ষার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
নতুন এই আইনে লিজ গ্রহীতাদের খনি এলাকার ডিজিটাল ছবি জমা করতে হবে। এমনকি, যে সমস্ত লিজ গ্রহীতার বাৎসরিক ১ মিলিয়ন টন বা তার বেশি খনিজ সম্পদ উত্তোলনের পরিকল্পনা রয়েছে, তাদের সমগ্র লিজে নেওয়া এলাকার দ্রোণ সমীক্ষা চিত্র জমা করতে হবে।
কার্টোস্যাট-২ উপগ্রহ থেকে পাওয়া চিত্র জমা করতে হবে। সেই সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট আইনের ৩৪এ ধারানুযায়ী দ্রোণ সমীক্ষা করা যেতে পারে।
২৫ হেক্টরের কম লিজ নেওয়া এলাকায় লিজ গ্রহীতারা আংশিক সময়ের ভিত্তিতে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার বা আংশিক সময়ের ভূতত্ত্ববিদ নিয়োগ করতে পারবেন।
ক্যাটাগরি-এ খনিগুলির ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক নিরাপত্তা এবং ক্যাটাগরি-বি খনিগুলির ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ টাকার আর্থিক নিরাপত্তা কমিয়ে যথাক্রমে ৩ লক্ষ ও ২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
খনি মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে (www.mines.gov.in) সংশোধিত আইনটি জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়েছে।