দেশ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা চিরতরে দূর করার লক্ষ্যে কৌশল নির্ধারণে এক চিন্তন শিবিরে পৌরোহিত্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভারতী প্রবীণ পাওয়ার।
দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্য পূরণের ৫ বছর আগেই অর্থাৎ ২০২৫ – এর মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা চিরতরে দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করে ডঃ পাওয়ার বলেন, ‘এই সময়সীমা শেষ হতে আর মাত্র ৩৭ মাস বাকি রয়েছে’। তাই, এই পরিস্থিতিতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং কোভিড-১৯ জনিত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সৃজনশীল চিন্তাভাবনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।
যক্ষ্মা দূরীকরণে ভারতের অঙ্গীকারের কথা আরও একবার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মহামারী সত্ত্বেও দেশে নিখরচায় মলিক্যুলার ডায়াগনসিস পরিষেবা ও চিকিৎসার গতি রুদ্ধ হয়নি। একইভাবে, যক্ষ্মা রোগীদের আর্থিক ও পরিপূরক পুষ্টি সহায়তা অব্যাহত থেকেছে। জাতীয় যক্ষ্মা দূরীকরণ কর্মসূচির আওতায় সময় মতো রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, যক্ষ্মা দূরীকরণের ক্ষেত্রে রোগ-নির্ণয় ও দ্রুত চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। এই লক্ষ্যে সর্বজনীন যক্ষ্মা পরিষেবা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। যক্ষ্মা দূরীকরণে জাতীয় রণকৌশলের অঙ্গ হিসাবে প্রতিকারমূলক চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে, আরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসতে চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। যক্ষ্মা রোগীদের থেকে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ-শৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
যক্ষ্মা দূরীকরণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রয়াসের কথা উল্লেখ করে ডঃ ভারতী বলেন, এই রোগটিকে সুসংবদ্ধ প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একই সঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সঙ্গেও যুক্ত করা হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যই হ’ল আগাম রোগ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে যক্ষ্মা চিরতরে নির্মূল করা। এই লক্ষ্যে সারা দেশে যক্ষ্মা মুক্ত ভারত অভিযানের সূচনা হয়েছে বলেও তিনি জানান। যক্ষ্মা রোগের উপশমে নতুন ওষুধ প্রয়োগের কথা উল্লেখ করে ডঃ পাওয়ার এই ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক প্রয়াসগুলির প্রশংসা করেন।
যক্ষ্মা দূরীকরণের লক্ষ্যে এই চিন্তন শিবিরে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব ও জাতীয় যক্ষ্মা দূরীকরণ কর্মসূচির মহানির্দেশক শ্রীমতী আরতী আহুজা, ডঃ সুদর্শন মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।