প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির বৈঠকে ২০২১-২২ পাট বর্ষে বাধ্যতামূলকভাবে চটের ব্যাগ ব্যবহারের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। পাট বর্ষ প্রতি বছর পয়লা জুলাই থেকে শুরু হয়। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের ফলে ১০০ শতাংশ খাদ্যশস্য এবং ২০ শতাংশ চিনি চটের ব্যাগে পরিবহণ করতে হবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কাঁচা পাট উৎপাদনকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা করা হল। ২০২০-২১ পাট বর্ষে উৎপাদিত পাটের প্রায় ৬৬.৫৭ শতাংশ, চট ব্যবহার করে প্যাকেজিং-এর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। জেপিএম আইন প্রয়োগের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন চটকলে কর্মরত ৩ লক্ষ ৭০ হাজার শ্রমিক এবং ৪০ লক্ষ পাট উৎপাদনকারী কৃষক পরিবারের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। প্রাকৃতিক, পুনর্নবীকরণযোগ্য তন্তু থাকায় চট ব্যবহারে পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে।
ভারতের অর্থনীতিতে চটশিল্পর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার অর্থনীতি পাটের ওপর নির্ভরশীল। পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতে চট-ই হল প্রধান শিল্প। ১৯৮৭ সালের জেপিএম আইনের প্রয়োগের ফলে বর্তমান সময়ে চটশিল্পের সুবিধা হবে, কারণ চট কলগুলিতে মোট উৎপাদিত পাটের ৭৫ শতাংশ দিয়ে চটের ব্যাগ তৈরি হয়। ভারতীয় খাদ্য নিগম এবং রাজ্য স্তরের শস্য সংগ্রহকারী সংস্থাগুলি এই ব্যাগের ৯০ শতাংশ কিনে নেয়। প্রতি বছর কেন্দ্র প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার চটের ব্যাগ কেনে। এই ব্যাগ খাদ্যশস্য পরিবহণের কাজে ব্যবহার করা হয়। চটের তৈরি ব্যাগের উৎপাদন বজায় রাখার জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। কারণ এর মাধ্যমে পাটচাষী, চট কলের শ্রমিক সহ চট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের স্বার্থ রক্ষিত হয়।