প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ বীর জনজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে ১৫ নভেম্বরকে জনজাতিয় গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। দেশের জন্য তাঁদের আত্মবলিদানের কথা আগামী প্রজন্মকে জানাতে এই উদ্যোগ। সাঁওতাল, তোমর, কোল, ভীল, খাসি, মিজো সহ বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছিল। বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাহসী মানুষেরা আন্দোলনের সময় প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। এইসব আন্দোলন জাতীয় স্তরে স্বাধীনতা আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কিন্তু আদিবাসী নায়কদের কথা আজ বেশিরভাগ মানুষের কাছেই অজানা। ২০১৬ সালে স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দেশে বিভিন্ন স্থানে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংগ্রহশালা নির্মাণের যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্র তা অনুমোদন করেছে, এর অঙ্গ হিসেবে ১০টি সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হচ্ছে।
দেশজুড়ে শ্রী বীরসা মুন্ডা আদিবাসী সমাজের কাছে ভগবান হিসেবে পরিচিত। তিনি বৃটিশ উপনিবেশ শক্তির শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং যে ‘উলগুলান’ (বিপ্লব)-এর ডাক দিয়েছিলেন তার ফলে এক আন্দোলনের সূচনা হয়। জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত মানুষদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দিতে ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্মদিন ১৫ নভেম্বরকে জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং ভারতীয় শৌর্য্য, আতিথেয়তা ও জাতীয় গর্বকে এর মাধ্যমে সকলের মাঝে তুলে ধরা হবে। বীরসা মুন্ডা রাঁচিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শ্রী মোদী সেখানে উপজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একটি সংগ্রহশালার উদ্বোধন করবেন।
কেন্দ্র স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্জনের কথা প্রচার করতে ১৫ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথভাবে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার পাশাপাশি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষদের বিভিন্ন সাফল্য গাঁথা তুলে ধরা হবে। এছাড়াও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁদের অবদান এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা সকলকে জানানো হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবিকা, পরিকাঠামো এবং দক্ষতা বিকাশে আদিবাসীদের জন্য কেন্দ্রের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পর কথাও এই অনুষ্ঠানে প্রচার করা হবে।